December 22, 2024, 8:17 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
আনোয়ার আলী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। কুষ্টিয়া পৌরসভা মেয়র হিসেবে তার নাম যেন আটকে গেছে। তিনি ২৬ বছর ধরে এখানে মেয়র বা চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। ৪বার নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতার বিপক্ষে এবার প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ। এই প্রথম এরকম বড় প্লাটফরমে নির্বাচনে নেমেছেন তিনি। এর আগে বশিরুল আলম কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন মজমপুর ইউনিয়নের চারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে এখন কুষ্টিয়া পৌরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
১৮৩৯ সালে গঠিত হয় কুষ্টিয়া পৌরসভা। বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে অন্তর্ভূক্ত এ পৌরসভার আকার এখন অনেক বড়। ২১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ১লাখ ৪৬ হাজার ৪শ ২৩ জন। জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে এখানে মেয়র পদে তিনজন, ৯৭ জন কাউন্সিলর পদে, আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৪ জন। তিনটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দু-একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া এখানে শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা চলছে। সব মিলিয়ে প্রচার প্রচারণার শহরে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া।
আওয়ামী লীগে মনোনীত মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য আনোয়ার আলী প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়ার্ডে সভা করছেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ৭৮ বয়সী এই প্রবীন নেতা যুবকের মতো ছুটছেন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগে কোন বিরোধ না থাকায় নেতারাও সব তার পক্ষেই কাজ করছেন। প্রত্যেক ওয়ার্ডেই জমজমাট আছে তার নির্বাচনী অফিস। আনোয়ার আলী দীর্ঘদিন কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের হাল ধরে আছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ১০ বছর ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ অলঙ্কৃত করেছেন তিনি। আনোয়ার আলী জয়লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, কুষ্টিয়া পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন এবং নান্দনিক রূপ দেয়া হয়েছে। আরো কিছু কাজ বাকী আছে, এবার নির্বাচিত হলে তা সম্পন্ন করবেন বলে ভোটারদের আশ^াস দিচ্ছেন তিনি।
মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী বশিরুল আলম চাঁদ জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি। তিনি পৌরসভার মতো বড় প্ল্যাটফর্মে লড়ছেন প্রথম। তবে সদা হাসিমুখের এই নেতা বেশ জনপ্রিয়। তার পক্ষেও নির্বাচনী প্রচারে জেলা বিএনপির নেতারা অংশ নিচ্ছেন। রশিরুল আলম বলেন, আনোয়ার ভাই রাজনীতিতে অনেক অভিজ্ঞ। তবে, আমিও ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। পৌরসভা বর্ধিত হওয়ায় বিএনপির ভোট বেড়েছে। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিনে পারলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেন তিনি।
মেয়র পদের অপর প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতা মো. আব্দুল্লাহ আখন্দ। তিনি লড়ছেন হাতপাখা প্রতিকে। তার নির্বাচনী পোস্টার রয়েছে শহরজুড়ে। তবে ধর্মীয় কারণে পোস্টারে তার নিজের ছবি নেই। তার পক্ষের লোকজনকে মসিজিদের বাইরে হাতে ধরা পোস্টার বিলি করেেত দেখা গেছে। সব প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। তবে পোস্টার আর মাইকিং এর ক্ষেত্রে কাউন্সিলর প্রার্থীরাই এগিয়ে।
আগামী ১৬ জানুয়ারি ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ভেড়ামারা পৌরসভায় লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ-জাসদ
Leave a Reply